হিজলায় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। ৮-৯ দিন পার হওয়ার পরও আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রতিকী ছবি

বরিশাল প্রতিনিধি ঃ

বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের পত্তনীভাঙ্গা গ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১১) ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার পর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বখাটে ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪) পত্তনীভাঙ্গা গ্রামের জব্বারের সুপারী বাগানে এ ঘটনা ঘটায়। ওই ঘটনায় হিজলা থানায় ধর্ষন চেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে। যার মামলা নাম্বার -২৬ তারিখ ২৯-৩-২০২৫ ইং। এদিকে স্কুল ছাত্রীর পরিবার দাবী করেছেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাদের হুমকী ধামকী দিচ্ছে বখাটে সাইফুল ,তার বাবা তুজু রাড়ি, সুমন রাঁড়ি (জেলা ছাত্রদলের স্থায়ী বহিষ্কৃত নেতা) ,আরিফ রাঁড়ি, নেয়ামত উল্লাহ হালিম (স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা), তথাকথিত বিএনপি নেতা আমজাদ বেপারী, মহিউদ্দিন রাড়ি ও এ বি এস স্বপন খাঁন ও তার লোকজন।

জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী বাড়ির পাশের মিয়ারহাট বাজার থেকে কয়েল নিয়ে ফিরছিল। পথিমধ্যে পিছন থেকে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে জব্বার সরদারের সুপারির বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে পাশের এলাকার বখাটে সাইফুল ইসলাম। কিন্তু মেয়েটির কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয় জুয়েল খাঁ উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে তার মাকে বিষয়টি অবহিত করে।এ নিয়ে স্থানীয়দের দেন দরবারের মাধ্যমে প্রভাবশালী চক্র বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি ঘটনার শিকার শিশু ছাত্রীর পরিবারের উপর আসতে থাকে নানা ধরনের হুমকি। তবে এ খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার রাতেই ছেলের বাবা সহ কয়েকজন মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বখাটে সাইফুলকে দু-তিনটা জুতার পিটুনি দিয়ে ঘটনা মিটের চেষ্টা করে। তবে ২৯ মার্চ (শনিবার) রাতেই ওই ঘটনায় হিজলা থানায় মেয়ের মা ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে ৮-৯ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত আসামি ধরতে পারেন নাই।ধর্ষন চেষ্টার শিকার ছাত্রীর বাবা বলেন, তার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাইফুল একাধিকবার খারাপ কাজ করেছে। তাদের এখন সাইফুলের পরিবার হুমকী দিচ্ছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মামলা দায়ের করেছেন। তিনি তার মেয়ের উপর শারিরিক নির্যাতনের বিচার চান। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করায় বুধবার দুপুরে বাদীর বাড়ি ভাংচুর করে আসামী পক্ষ ও তার দলের লোকজন। এ ব্যাপারে ও থানায় একটি জিডি দায়ের করা হয়। যাহার জিডি নাম্বার -৭০ তারিখ ০২-০৪-২০২৫ ইং। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মাহতাব হোসেন এর বক্তব্য নিলে তিনি বলেন আসামি গ্রেফতার এর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যপারে হিজলা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে তার মা শনিবার (২৯ মার্চ) থানায় নারী ও শিশু আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এবং পরবর্তীতে জানতে পারি বাদির বাড়িঘরে হামলা করেছে এবং হামলার ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়। তবে ওই স্কুল ছাত্রী দাবী করেছে তার হাত ধরে টান দিয়েছে, ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি। তবে আমি আমার এসআইকে দায়িত্ব দিয়েছি আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান।

Post a Comment

0 Comments